রিশাদের ৬ উইকেট লাভ
বড় ব্যবধানে ওয়েস্টইন্ডিজকে হারিয়ে সুচনা
পাচ দিনের ব্যবধানে দেশের তিন গুরুত্বস্থানে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে অনেকটাই স্তব্দ দেশ। এমন পরিস্থিতিতে মিরপুর শেরেবাংলায় কিছুটা হলেও স্বস্থির খবর দিলেন ক্রিকেটাররা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে সফরকারী ওয়েস্টইন্ডিজ ক্রিকেট দলকে হারিয়েছে তারা বড় ব্যবধানে ৭৪ রানে। লোস্কোরিং এ ম্যাচে ক্যারিবিয়দের ব্যাটিং আরো বাজে ছিল। প্রথম ব্যাটিং করে ২০৭ রান করতে সক্ষম হয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে খেলতে নামা ওয়েস্টইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের যেন চেপে ধরেন স্পিনার রিশাদ। অলআউট তারা ১৩৩ রানে।
মিরপুরের উইকেট মানেই স্পিনের রাজত্ব। সেই মঞ্চেই ঘূর্ণির জাদু ছড়িয়ে রিশাদ হোসেন নিজের কৃতিত্বপূর্ণ বোলিংটা করেছেন। ব্যাট হাতে আগেই ১৩ বলে ঝোড়ো ২৬ রান, এরপর বল হাতে ছয় উইকেট ওয়ানডেতে নিজের ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্সে মিরপুরকে পরিণত করলেন একক প্রদর্শনীর মঞ্চে। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ পেল তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৭৪ রানের দাপুটে জয়।
২০৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা ছিল ভালোই। ওপেনিং জুটিতে ৫১ রান তুলে ভরসা জাগিয়েছিলেন ব্র্যান্ডন কিং ও অ্যালিক অ্যাথানেজ। কিন্তু এরপরই মিরপুরে শুরু রিশাদ তান্ডব। নিজের প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দেন অ্যাথানেজকে, তারপর একে একে তুলে নেন কিং, কার্টি, রাদারফোর্ড, চেজ ও শেষ ব্যাটার সিলসকে। ৯ ওভারে মাত্র ৩৬ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট—বাংলাদেশের ইতিহাসে ওয়ানডেতে কোনো লেগ স্পিনারের সেরা বোলিং ফিগার এখন তার দখলে।
রিশাদের ঘূর্ণিতে ৩৯ ওভারে ১৩৩ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একপ্রান্তে কিছুটা লড়াই করলেও অন্যপ্রান্তে কেউই দাঁড়াতে পারেননি। ইনিংসের মাঝপথেই হাল ছেড়ে বসে ক্যারিবীয়রা, যারা একসময় ৫১/০ থেকে হারায় শেষ ১০ উইকেট মাত্র ৮২ রানে।
এর আগে বাংলাদেশের ব্যাটিংও ছিল বেশ টলমলে। ইনিংসের শুরুতেই ৮ রানে হারায় দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকারকে। তবে এরপর তাওহীদ হৃদয় (৫১) ও অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (৪৬) এর ব্যাটে ভর করে ২০০ পেরোয় স্বাগতিকরা। শেষদিকে রিশাদের ১৩ বলে ২৬ রানের ছোট্ট ঝড়ই পার্থক্য গড়ে দেয়। ২০৭ রান করেছিলেন তারা।
বল হাতে রিশাদের পরিশ্রমে যোগ দেন মোস্তাফিজুর রহমান (২/১৬) ও তানভীর ইসলাম (১/৪৬)। অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজও নিয়েছেন একটি উইকেট।
কমেন্ট বক্স